প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে
শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর এলাকায় আরিফ সিকদার (আতিক সিকদার) নামে এক ইতালি প্রবাসীর বাড়িঘর ভাঙচুর ও দখলের অভিযোগ উঠেছে তার সাবেক স্ত্রী ও তার আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে।
এছাড়াও হামলা-মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এঘটনায় ভুক্তভোগী প্রবাসীর ভাগ্নে ফারুক সরদার বাদী হয়ে ৭ জনের নামে শরীয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আমলী আদালতে একটি মামলা করেছেন। তবে মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন ওই বাদী।
মামলার বাদী ফারুক সরদার জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ তার মামা আরিফ সিকদার (আতিক সিকদার) ইতালি প্রবাসে আছেন। এই সুযোগে মামী কুসসুমা বেগম পরকিয়ায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে কুসসুমা বেগম ১০ ভরি স্বর্ণাঙ্কার ও বেশ বিছু টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে কয়েক সালিশ বৈঠক হলে ওই নারীরে তালাক দিয়ে ফের ইতালি চলে যায় আরিফ সিকদার। তালাকের নোটিশ পেয়ে কুমসুমার ভাই নিয়ামত বেপারী ও ইউসুফ বেপারী তার মামাকে হুমকি ধমকি দেয় এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করার কথা বলে। এরপর গত ২১ মে ২০২৫ নিয়ামত বেপারী ও ইউসুফ বেপারীর হুকুমে কুলসুমা বেগম, সাহেদালী বেপারী, সওদাগর বেপারী, মিজান বেপারী ও ওয়াসিম খা বাড়ীতে ঢুকে ঘরের তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে। পরে খবর পেয়ে ফারুক সরদার এসে দেখে ঘরের সমস্ত ফার্নিসার যেমন খাট, আলমারি, ফ্রিজ, সোফা, ড্রেসিন টেবিল, ওয়ারড্রোপ, স্টিলের আলমারী সহ সবকিছু ঘর থেকে বের করছে। এসময় ফারুকের বাঁধার পরেও আনুমানিক ৬ লাখ টাকার ফার্নিসার নিয়ে যায় তারা। পরে কুলসুমা বেগম ওই ঘরে জোরপূর্বক বসবাস শুরু করছে। এঘটনা আরিফ সিকদার জানতে পারলে আত্মীয় স্বজনের সাথে আলোচনা করে মামলা করার সিদ্ধান্ত করা হয়। দেরি হওয়ায় থানায় মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা ক রার পরামর্শ দেয়। পরে ভুক্তভোগী প্রবাসীর ভাগ্নে ফারুক সরদার বাদী হয়ে ৭ জনের নামে শরীয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আমলী আদালতে একটি মামলা করেন। তবে মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন ওই বাদী।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী ফারুক সরদার বলেন, পরকিয়া করায় এবং স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা চুরি করায় আমার প্রবাসী মামা তার স্ত্রী কুলসুমাকে তালাক দেয়। এঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে কুলসুমা। পরে সে তার আত্মীয়-স্বজন ও বহিরাগত লোক নিয়ে মামার বাড়িঘর ও লুটপাট করে। খবর পেয়ে আমি এসে বাঁধা দিলেও তারা শোনেনি। মামলা করায় আমাকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। আমরা এর বিচার চাই।
এব্যাপারে অভিযুক্তদের বক্তব্যের জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অনেকেই বলেন, উক্ত ঘটনা সহ আগে পরের অনেক ঘটনা আমরা জানি। এলাকার মান সম্মান রক্ষায় এগুলোর দ্রুত সঠিক সমাধান হওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে নড়িয়া থানার ওসি আসলাম উদ্দিন বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।