Saturday, 19 April, 2025
Logo
বিজ্ঞাপন
যাবতীয় রড, সিমেন্ট, ইট, বালি ও কনা পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করা হয় ।। যোগাযোগ- মেসার্স হোসেন ব্রাদার্স/ জাকের ট্রেডার্স।। সোবান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড, সিনেমা হলের পাশে, দাগনভুইয়া, ফেনী। প্রোপ্রাইটর জাকের হোসেন আলমগীর ০১৭১১-৯৬২৯২৫।। ০১৮৭১-৯৩০০০৮ মেসার্স কে আহাম্মদ এন্ড সন্স! পরিবেশক,বি এম, ডেল্টা ও ইউনি এল পি গ্যাস! যোগাযোগ- বসুরহাট রোড, সিনেমা হলের সামনে, দাগনভুইয়া, ফেনী- ০১৭১১-৩০৪৮৭৩, ০১৮৩৯-৩৯৭১৩০! দাগনভুইয়া ফিজিওথেরাপী সেন্টার, একটি আধুনিক বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস ও মুখ বাঁকা চিকিৎসা কেন্দ্র। ঠিকানা- সোবহান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড। (সাবেক ঝর্না সিনেমা হলের পাশে)। দাগনভুইয়া, ফেনী। 01818-019684, 01721-910110

৮ কোটি টাকার সেতু কাজে আসছে না কারো

মিজানুর রহমান

প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে


ছবি - সড়ক বিহীন সেতু

ছোট ফেনী নদীর মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে ৮ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত সেতু। নির্মানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও তৈরী হয়নি দুই পাশে সংযোগ সড়ক । এতে জন ভোগান্তি চরমে ওঠেছে, সেতুটি এলাকাবাসীর কোন কাজে আসছেনা। স্থানীয়রা চান দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মান করে সেতুটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হোক।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, জেলার দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভুঞা ইউনিয়নের আশ্রাফপুর ও মোমারিজপুরের জনগণের উপকারার্থে আশ্রাফপুরে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ছোট ফেনী নদী উপর ৬০ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে কাজটি শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ছালেহ আহমদ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ব্রীজের একপাশে কৃষি জমি ও অন্যপাশে রাস্তা সংলগ্ন জনবসতি থাকাতে ব্রীজের সংযোগ সড়ক নির্মান করা যাচ্ছে না। তাছাড়া নদী তট থেকে গড়ে প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার সেতুটির সড়ক সংযোগ  করা কষ্টসাধ্য হবে। 

স্থানীয় কৃষক রঞ্জিত চন্দ্র দাস কালবেলা কে জানান , সেতু নির্মান হওয়ার খবরে আমরা অনেক খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও এর দুই পাশে রাস্তা নির্মান না হওয়ায় আমরা হতাশ। সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মান না হওয়ায় পাশের কাঠের ব্রীজ দিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় প্রায়সময় স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা নদীতে পড়ে যায়। আমরা দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মানের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানাই।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল আলী কালবেলা কে জানান, আমাদের এলাকায় উক্ত ব্রীজ নির্মান করে উন্নয়ন করতে গিয়ে আমাদের আরো ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যে নদী ভাঙনে আমাদের অনেক পরিবার নি:স্ব হয়ে গেছে। এরপরেও যদি ব্রীজটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক থাকতে তাহলেও হত ো কিন্তু রাস্তা নির্মান না হওয়ায় এখন আমাদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবী করছি যাতে দ্রুত ব্রীজের সংযোগ সড়কটি নির্মান করা হয়। 

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য হারিছ আহমদ পেয়ার কালবেলা কে জানান, আমরা জানিনা ইঞ্জিনিয়ার সাহেব কি হিসেবে এত উঁচু ও রাস্তার সংযোগ না দিয়ে এটি অনুমোদন করলেন? এখন আগামী বর্ষার আগে দ্রুত দুই পাশে রাস্তা নির্মান নাহলে মাতুভূঞা ও বেকের বাজারগামী  লোকজন মারাত্মক অসুবিধার সম্মুখীন হবেন। তিনি দ্রুত রাস্তা নির্মান করে সেতুটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দাগনভুঞা উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ জানান, পর্যাপ্ত জায়গা না থাকার কারনে ব্রীজের সংযোগ সড়ক নির্মান করা যায়নি।জায়গার মালিকদের সাথে আলোচনা করে রাস্তা নির্মানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স,ম আজহারুল ইসলাম কালবেলা কে জানান, "রাস্তা না থাকলে ব্রীজটি জনগণের উপকারে আসবেনা। এ বিষয়ে উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের বিস্তারিত জানানো হয়েছে।

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত