Saturday, 19 April, 2025
Logo
বিজ্ঞাপন
যাবতীয় রড, সিমেন্ট, ইট, বালি ও কনা পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করা হয় ।। যোগাযোগ- মেসার্স হোসেন ব্রাদার্স/ জাকের ট্রেডার্স।। সোবান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড, সিনেমা হলের পাশে, দাগনভুইয়া, ফেনী। প্রোপ্রাইটর জাকের হোসেন আলমগীর ০১৭১১-৯৬২৯২৫।। ০১৮৭১-৯৩০০০৮ মেসার্স কে আহাম্মদ এন্ড সন্স! পরিবেশক,বি এম, ডেল্টা ও ইউনি এল পি গ্যাস! যোগাযোগ- বসুরহাট রোড, সিনেমা হলের সামনে, দাগনভুইয়া, ফেনী- ০১৭১১-৩০৪৮৭৩, ০১৮৩৯-৩৯৭১৩০! দাগনভুইয়া ফিজিওথেরাপী সেন্টার, একটি আধুনিক বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস ও মুখ বাঁকা চিকিৎসা কেন্দ্র। ঠিকানা- সোবহান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড। (সাবেক ঝর্না সিনেমা হলের পাশে)। দাগনভুইয়া, ফেনী। 01818-019684, 01721-910110

ভারতের ডিএনএতে বাংলাদেশের মঙ্গল : হাস্যকর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে


ছবি- ফাহিম

ভারতের রক্তে বাংলাদেশর মঙ্গল ও বাস্তবতা।

সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয় শঙ্কর বাংলাদেশের চলমান বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, "বাংলাদেশের মঙ্গল কামনা ভারতের ডিএনএতে আছে, ভারতের মত অন্য কোন দেশ বাংলাদেশের এত মঙ্গল কামনা করে না, বন্ধু হিসাবে, শুভাকাঙ্ক্ষী হিসাবে তিনি আশা করেন বাংলাদেশ সঠিক পথে চলবে" 

এসব মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে তর্ক বিতর্ক। ফেসবুক জুড়ে হা হা রিয়েক্ট এর ছড়া ছড়ি। একেবারে তৃনমুল পর্যায়ের দেশ প্রেমিকরাও এস জয় শঙ্কর এর মঙ্গল কামনায় চড়াও হয়েছেন। অনেকে ট্রল করে লিখছেন ভরত সারাজীবন হাসিনা আর আওয়ামী লীগ মঙ্গলে ব্যাস্ত ছিলেন, এখনো হাসিনা মঙ্গলের চেষ্টায় লিপ্ত আছেন যার কারনে নতুন সুরে আমাদের বোকা বানানোর ফায়তারা করছেন। এক কথায় ৫ আগষ্ট পরবর্তী বিপ্লবী জনতা কোন যুক্তিতেই বিশ্বাস করতে চাইছে না ভারত বাংলাদেশের জনগনের মঙ্গল চায়।

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী যখন বাংলাদেশ আস্তে আস্তে নতুন আঙ্গিকে সজ্জিত হওয়ার চেষ্টায় আত্মনিয়োগ করেছে, বিগত সরকারের একমুখী  এলোমেলো, স্বার্থান্বেষী সম্পর্ক গুলোকে ভেঙে দেয়া- নেয়ার ভারসাম্য বজায় রেখে দেশ ও জনতার স্বার্থে বাংলাদেশ কে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাড়াতে মজবুত ভিত্তি তৈরি করতে কাজ করে যাচ্ছেন। ভারত কে ডিঙিয়ে চীনের সাথে বহুমাত্রিক কল্যাণকর সম্পর্ক রচনা, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন, আইনশৃঙ্খলা সহ সব ক্ষেত্রে সংস্কার করে এগিয়ে যাওয়া যা ভারতের গাত্রদাহের প্রধান কারণ হওয়াতে মূলত বাংলাদেশ নিয়ে তারা উৎকন্ঠায় রয়েছেন। 

ভারতের সাজানো শোষণ নীতি যখন ভন্ডুল হওয়ার পথে ঠিক তখনই ত ারা মনে করছেন বাংলাদেশ সঠিক পথে চলছে না তাই তারা পূর্বের ন্যায় বাংলাদেশের পথ ও মত তৈরিতে তাদের প্রভাব বিস্তারের ইঙ্গিত দিচ্ছেন। তাদের সাজানো চকে না চলে নতুন বাংলাদেশের অগ্রগতির ট্রেন যখন সঠিক পথে জনগণের কল্যানে ধাবিত হচ্ছে তখন তারা বোঝাতে চাইছে  বাংলাদেশ ভূল পথে পা বাড়াচ্ছে। 

বাংলাদেশের মানুষ প্রায়ই বলে "বাংলাদেশের কোন বিষয়ে ভারত যখন বিরোধিতা করবে তখন বুজতে হবে বাংলাদেশ সঠিক পথেই এগুচ্ছে"। জয় শঙ্কর তার কথার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের জনগনের বহুদিনের এই ভাবনাটিকে আরো শক্তিশালী করে দিলেন বৈকি। 

ভারতের সকল আশা আকাঙ্ক্ষা আর শোষনের গালে চপেটাঘাত করে ড. ইউনুস যখন চীন সফর গেলেন তখন থেকেই ভারত অনেক টা জ্বরের ঘোরে প্রালাপ বকতে শুরু করেছেন। তাই এস জয় শঙ্কর মূলত বুজাতে চাচ্ছেন চীন নয় ভারতই বাংলাদেশের মঙ্গল কামনায় সর্বদা ব্যাতি ব্যাস্ত। 

জয় শঙ্কর আশা করছেন বাংলাদেশ সঠিক পথে চলবে, 
এই কথার ডেলিভারিতে বুজা যায় হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশ সঠিক পথে চলছে না।হাসিনা সরকার গুম, খুন, মামলা, হামলা, লুটপাট, দূর্নীতি ও জেনোসাইডের মধ্যে দিয়ে যে অমানবিক শোষন ব্যাবস্থা চালিত করে বাংলাদেশের মানুষ কে জিম্মি করেছিলেন সেটাই সঠিক পথ ছিল বলে যুক্তি উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন এস শঙ্কর।

ভারতের বর্তমান মাথা ব্যথার কারন গুলো যদি একটু পর্যালোচনা করি তাহলে প্রথমে আসবে হাসিনা, স্বৈরাচারী তকমা নিয়ে হাসিনা যখন দেশ ছেড়ে পলায়ন করেছেন তখন ভারতই তাকে কৃতজ্ঞতা বসত আশ্রয় দিয়ে রক্তের সম্পর্কের দায় মোচন করার উদাহরণ তৈরি করেছেন, যা এখন বাস্তবে ভারতের গলার কাটা হিসাবে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। না পারছেন গিলতে না পারছেন উগরে দিতে অবস্থা। ভারতের বিগত ৮ মাসের রাজনীতিতে আলোচনার জায়গা করে নিয়েছেন হাসিনা। দিন দিন এই আলোচনা তিক্ত হচ্ছে ভারতে, যা বর্তমান বিজিপি সরকারের জন্য বিব্রতকর মনে করছেন অনেকেই। 

দ্বিতীয়ত, ভারতের সামনে আরেকটি বড় ফ্যাক্টর ড. ইউনুস, বাংলাদেশ ও বিশ্ব জুড়ে ড. ইউনুসের একটা প্রভাব থাকায় ভারত কোন ভাবেই ড. ইউনুস কে ভাগে আনতে পারছে না। ইউনুস যে দিকেই যাচ্ছে সেদিকেই তার জয়ধ্বনি দেখে ভারত অস্থির আচরন করছে, এবং মনে করছে ড. ইউনুসের রাষ্ট্র পরিচালনা যত দীর্ঘায়িত হবে ততই ভারতের জন্য সমস্যার প্রাচীর হয়ে দাড়াবে। বাংলাদেশের ন্যায্য পাওনা আদায়, তিস্তা মুখে বাধ, ও সেভেন সিস্টার্স উত্তপ্ত হয়ে ভারত বিভাজনের আশঙ্কাও উাড়িয়ে দিচ্ছেন না ভারত। তাই ভারত বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকে চাপ তৈরি করে বাংলাদেশের জনগনকে ইউনুস বিমুখ করে অতি দ্রুত নির্বাচন আদায় করতে মরিয়া ভাব দেখাচ্ছেন। যার কারনে চাপ প্রয়োগের অংশ হিসাবে সর্বশেষ বাংলাদেশের জন্য  ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করেছেন।

নির্বাচন দ্রুত হলে ভারতের সুবিধা কোথায়? 
প্রথমত, ড. ইউনুসের বিদায়, দ্বিতীয়ত, হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পূনরুজ্জীবন। ভারত জানে নির্বাচন হলেই বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, এবং বিএনপিকে সকল ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ভারত, বিনিময়ে হাসিনা ও আওয়ামী লীগের আপাতত পূনর্বাসন। যা বিএনপি ও ভারতের স্বার্থের হেপাজত হবে। ইদানীং ভারত ও বিএনপির আচরন পর্যালোচনা করলে স্পষ্ট হয়, উভয়ের চাওয়া একটিই নির্বাচন আদায় করে ড. ইউনুস কে হঠানো।

কিন্তু দিন দিন ড. ইউনুস ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিভিন্ন জরিপ এবং জনসাধারণের মধ্যে গুঞ্জন জোরালো হচ্ছে যে নির্বাচন নয় এভাই ড. ইউনুসের নেতৃত্বে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ। 

উপসংহারে, এস জয় শঙ্করের বাংলাদেশের মঙ্গল কামনা, সঠিক পথে চলার আশা, আকাঙ্ক্ষা, দ্রুত নির্বাচন চাওয়া নির্ভর করছে ৫ আগষ্টের সেই বিপ্লবী জনগণের উপর। বাংলাদেশের সকল পক্ষ ও ভারতকে বাংলাদেশের জনগন কি চায়, কেন চায় তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করতে হবে। এবং সর্বাবস্থায় জনগনের চাওয়াকে মূল্যায়ন করে কথা বলতে হবে। 

ইতিমধ্যেই জনগনকে উপেক্ষা করার ফল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে হাসিনা ও ভারত।

তবে আপাতদৃষ্টিতে বলতে পারি ড. ইউনুস  বাংলাদেশের রাইডার হিসাবে দীর্ঘদিন থাকছেন।

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত