প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে
জায়েনবাদী ইসরায়েল বিশ্ব মানবতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফিলিস্তিনে ইতিহাসের জঘন্যতম মানবতা বিরোধী অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে রমজান মাসেও ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে বোমা হামলা করে শত শত মানুষ, নারী ও শিশুকে নির্বিচারে হত্যা করে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। গাজায় বোমা হামলার ঘটনা শুধুমাত্র মানবাধিকার লঙ্ঘনই নয়, এটি আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবতার প্রতি চরম অবজ্ঞা। গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধে বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি আজ (সোমবার) বিকাল সাড়ে ৩টায় বায়তুল মোকারম উত্তর গেইটে বাংলাদেশ লেবার পার্টি উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী গাজায় গনহত্যা বন্ধের সংহতি কর্মসূচীর সমর্থনে আয়োজিত "গাজায় গনহত্যা বন্ধ করার দাবীতে সংহতি সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।
ডা. ইরান আরো বলেন, মানবতার দুশমন ইসরাইল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ১৮ মার্চ গাজায় ইতিহাসের নিকৃষ্টতম বিমান হামলা চালিয়ে শিশুসহ চার শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পরও ইসরাইল গাজায় একের পর এক নির্মম বর্বরতা চালাচ্ছে। তাদের মদদ দিচ্ছে মানবতার বুলি আওড়ানো জাতিসংঘ ও আমেরিকা।
তিনি বলেন, সেখানে নিরাপরাধ নিষ্পাপ শিশুদের ওপর যে বর্বরতা চালানো হচ্ছে তা চরম মানবধিকারের লঙ্ঘন। বিশ্বের এমন কোনো যুদ্ধ আইন নেই, যে আইনে গণহত্যা করা বৈধ। আমরা দেখছি, মানবতার ধোঁয়া ওড়ানো বিশ্ব মোড়লরা নিশ্চুপ। মসজিদুল আকসা এবং ফিলিস্তিনকে রক্ষা করার জন্য ওআইসি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু ওআইসি আজ নির্জীব। এই নির্জীব ওআইসি আমাদের প্রয়োজন নেই ।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট মহসিন রশিদ বলেন,বলেন, জায়নবাদী, সন্ত্রাসী অবৈধ রাষ্ট্র শান্তিচুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় হামলা ও নির্মম গণহত্যা চালিয়ে বিশ্বের সাড়ে ৭০০ কোটি মানুষের কলিজায় আঘাত করেছে। এ হামলার মাধ্যমে তারা শুধু শান্তিচুক্তি ভঙ্গই করেনি বরং যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু এসব করে দখলদার আগ্রাসী বাহিনীর শেষ রক্ষা হবে না বরং অচিরেই ইসলাম ও মুসলমানদের চূড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত হবে। ইতিহাস সাক্ষী মুসলমানরা কখনো পরাজিত হয়নি বরং সীমিত সামর্থ্য ও জনবল নিয়ে বিশাল কাফির বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে। তাই জায়নবাদী নির্মমতায় মুসলিম উম্মাহর বিচলিত হওয়ার কোন কারণ নেই বরং চূড়ান্ত বিজয় গাজা ও ফিলিস্তিনবাসীর জন্য অপেক্ষা করছে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদি, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ রুম্মান সিকদার, প্রচার সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন খান, দফতর সম্পাদক মোঃ মিরাজ খান, মহানগর সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র মিশনের সভাপতি সৈয়দ মোঃ মিলন, সহ সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজমুল ইসলাম মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাকিল হাসনাত, সাদ্দাম হোসেন লিটন, লেবার পার্টির মহানগর সহ সভাপতি মাসুদ আলম পাটোয়ারী, ডাঃ ইউসুফ পাটোয়ারী, শ্রম সম্পাদক এনামুল হক আকন্দ, কোতোয়ালি থানার সভাপতি মোঃ আনিস মোল্লা, পল্টন থানা যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ মিথুন প্রমুখ।
কর্মসূচীতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, জনতার অধিকার পার্টির মহাসচিব মোঃ রাজা রহমান, নাগরিক পার্টির আহসান উল্লাহ শামীম, জাস্টিস পার্টির আবুল কাসেম, সমাজতান্ত্রিক দলের হাফিজুর রহমান, ছাত্রফোরাম সভাপতি প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি