প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে
ঢাকা প্রতিনিধিঃ
খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বর্তমানে দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন। গত বছরের চেয়ে বেড়েছে ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জন। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন ভোটার রয়েছে। গত বছরের তুলনায় ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩১২ জন ভোটার বেড়েছে। যা ১ দশমিক ০৫ শতাংশ বেশি।
ইসি সানাউল্লাহ আরও জানান, খসড়া তালিকা অনুযায়ী পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৩০ হাজার ১০৩ জন। অপরদিকে নারী ভোটার ৬ কোটি ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪০৯ জন।
এবার ভোটার তালিকায় সাতটি দেশের ১৩ হাজার ১৫১ জন প্রবাসীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ধাপে ধাপে ৪০টি দেশ থেকে ভোটার অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তিনি আরও জানান, আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরবর্তী সময়ে ২ মার্চ প্রকাশ করা হবে ভোটারদের চূড়ান্ত তালিকা।
ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চূড়ান্ত হওয়ার পর বাদ পড়া ও ভোটারযোগ্যদের তালিকাভুক্ত করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিবন্ধন তথ্য নেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে এ এম এম নাসির উদ্দীন নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারির তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছিলেন ৬ কোটি ৫ লাখ ৯২ হাজার ১৬৯ জন, নারী ভ
োটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার ১৪০ জন এবং হিজড়া ভোটার ছিলেন ৮৪৮ জন।
২০২৪ সালের ২ মার্চ প্রকাশিত চূড়ান্ত হালনাগাদে ভোটার সংখ্যা বেড়ে হয় ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। এই সময়ে এক বছরে ভোটার বেড়েছিল ২৫ লাখ ১৭ হাজার ৩ জন। তবে নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করার সময় বহু ভোটার নতুন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি।
এ বছর ভোটার সংখ্যা আরও বেড়ে ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জন নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন।
ভোটার তালিকা হালনাগাদের নিয়ম অনুযায়ী, বাংলাদেশের নাগরিকদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলেই ভোটার হওয়ার সুযোগ থাকে। তবে নির্বাচন কমিশন প্রতি বছর ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে। এই তালিকা নিয়ে দাবি-আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তির পর ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই চূড়ান্ত তালিকার ভিত্তিতেই জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।