প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে দুইদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। হিমেল হাওয়া ও শৈত্য প্রবাহের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অনেকে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শীত বস্ত্রের অভাবে নিদারুণ কষ্টে দিন কাটছে অসহায় মানুষগুলোর।
শীতের দাপটে গ্রামাঞ্চলের অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টাও করছেন। তীব্র শীত উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় কুড়িগ্রামে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার।
গত এক মাস ধরে এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মধ্যে ওঠানামা করছে। আগামীতে আরো তাপমাত্রা কমে এ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেণী সোবাহানবাজার এলাকার দিনমজুর শহিদুল ইসলাম বলেন, শীত কি আর অভাব বোঝে? কাজ করে খেতে হয়। গত দুদিন ধরে খুবই ঠাণ্ডা তবুও কাজে আসছি।
হাতিয়া ভবেশ গ্রামের বৃদ্ধা জহোরা বেওয়া বলেন
, যে শীত বাবা। আগে মেম্বর (ইউপি সদস্য) চেয়ারম্যানরা ঢুসে (কম্বল) দিতো। এবার কাইও (কেউ) দিল না।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা জানান, এ পর্যন্ত শীত নিবারণে ৯ উপজেলায় ৪৯ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।