প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে
একজন মরহুম শিক্ষকের নামে প্রতিষ্ঠিত সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নির্মাণকাজে বাধা প্রদান ও পুলিশ নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে স্বজনের বিরুদ্ধেই। ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর থানার হাটে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক এম শরীফ ভূঞা জানান, তাঁর মরহুম পিতা প্রধান শিক্ষক ফারুক ভূঞার নামে প্রতিষ্ঠিত "প্রধান শিক্ষক ফারুক ভূঞা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন"-এর স্থায়ী ভবন নির্মাণ কাজ চলাকালীন তাঁরই এক চাচা নির্মাণকাজে বারবার বাধা দেন। সর্বশেষ পুলিশ এনে কাজ বন্ধ করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সাংবাদিক শরীফ ভূঞা আরও বলেন,
“গত ২০ বছর ধরে আমরা পৈত্রিক ভিটা থেকে দূরে বসবাস করছি। আমার দাদার ২০৩ ডিসিমেল জমির মধ্যে আমরা মাত্র ২০ ডিসিম কাগজে পেয়েছি, যার মধ্যে বসতভিটা ৩ ডিসিম মাত্র। ২০১২ সালে আমার বাবা কাচারি ভিটার অংশ হিসেবে ৩ ডিসিম আমার নামে দলিল করে যান। দীর্ঘদিন পর আমি সেখানে ফাউন্ডেশনের অফিস নির্মাণের উদ্যোগ নেই। কিন্তু নির্মাণকাজ শুরুর পর থেকেই নানা বাধা আসে চাচাদের পক্ষ থেকে। ১ ডিসিমের মধ্যে মূল ভবনের কাজ করলেও কার্নিশ ও দরজার অংশ নিয়ে আপত্তি তুলে শ্রমিকদের হুমকি দেওয়া হয়।”
ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, নির্মাণসাইটে একাধিকবার উত্তেজনা ছড়ায় এবং পুলিশ এসে কাজ বন্ধের চেষ্টাও করে। তবে শেষ পর্যন্ত ছাদ ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়।
শরীফ ভূঞা অভিযোগ করে বলেন,“আমার শিক্ষিত চাচা এখন আমার জমির ওপর দেয়াল তুলে পথরোধের চেষ্টা করছেন। সমাজসেবা ও আলোকিত সমাজ গঠনের উদ্দেশ্যে গঠিত ফাউ ন্ডেশনের ভবন নির্মাণে এই বাধা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি আশা করি, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও এলাকাবাসী বিষয়টি বিবেচনায় নেবে।”
তিনি আরও বলেন,“আল্লাহর ইচ্ছা আর জনগণের সহযোগিতা থাকলে কোনো কুচিন্তিত অপচেষ্টা সফল হবে না। আমি দৃঢ় বিশ্বাস করি, সরকার অনুমোদিত এই সংগঠন ভবিষ্যতেও শিক্ষামূলক ও সামাজিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
প্রসঙ্গত, প্রধান শিক্ষক ফারুক ভূঞা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ২০১৭ সাল থেকে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন হিসেবে সমাজ উন্নয়ন, শিক্ষাবিষয়ক কর্মসূচি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।