Sunday, 07 September, 2025
Logo
বিজ্ঞাপন
যাবতীয় রড, সিমেন্ট, ইট, বালি ও কনা পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করা হয় ।। যোগাযোগ- মেসার্স হোসেন ব্রাদার্স/ জাকের ট্রেডার্স।। সোবান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড, সিনেমা হলের পাশে, দাগনভুইয়া, ফেনী। প্রোপ্রাইটর জাকের হোসেন আলমগীর ০১৭১১-৯৬২৯২৫।। ০১৮৭১-৯৩০০০৮ মেসার্স কে আহাম্মদ এন্ড সন্স! পরিবেশক,বি এম, ডেল্টা ও ইউনি এল পি গ্যাস! যোগাযোগ- বসুরহাট রোড, সিনেমা হলের সামনে, দাগনভুইয়া, ফেনী- ০১৭১১-৩০৪৮৭৩, ০১৮৩৯-৩৯৭১৩০! দাগনভুইয়া ফিজিওথেরাপী সেন্টার, একটি আধুনিক বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস ও মুখ বাঁকা চিকিৎসা কেন্দ্র। ঠিকানা- সোবহান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড। (সাবেক ঝর্না সিনেমা হলের পাশে)। দাগনভুইয়া, ফেনী। 01818-019684, 01721-910110 সর্বাধুনিক মেশিনে রোগ নির্নন ও বিশেষজ্ঞ ডক্টর চেম্বার।। ফেনী ল্যাব সিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার।। এস এস কে রোড়, ফেনী।। 01711375108/ 01815507975

সংঘাত সংঘর্ষ সংকটে দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপি : দায় নিতে চায় না কেউ

Editorials

প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে


ফাইল ফটো

সরকার পরিবর্তনের পর সারাদেশ ধাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিএনপি। দেশের সকল জেলা উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডে সক্রিয় হচ্ছে নেতা কর্মিরা। ১৭ বছরের নির্যাতন নিপিড়ন ভূলে দলকে ক্ষমতায় আনতে  কাজ করে যাচ্ছে অনেকেই। পদ-পদবীর জন্য তদবির হামলা মামলা ও ত্যাগ তিতিক্ষা তুলে ধরছে জেলা ও কেন্দ্রে। 

বিএনপির হাইকমান্ডও বিগত ১৭ বছর যারা দলের জন্য শ্রম ঘাম দিয়েছেন, নির্যাতন নিপিড়নের স্বীকার হয়েছেন তারা যেন কমিটিতে স্থান পায় এই নীতি প্রনয়ন করেছেন। 

পুরনো কমিটি ভেঙে জেলা উপজেলায় নতুন কমিটি দিতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনার অংশ হিসাবে গত ২২ ডিসেম্বর দাগনভূঞা উপজেলা ও পৌর আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। 

যেখানে দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক মেয়র আকবর হোসেনকে আহবায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করে ফেনী জেলা বিএনপি। 

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলালের সাক্ষরিত একটি প্রেস রিলিজের মাধ্যমে উক্ত কমিটি ঘোষণা করা হয়। উক্ত কমিটিতে বাকিরা হলেন সিনিয়র যুগ্ন-আহবায়ক মাহমুদুল হক মাদু ও সদস্য সচিব কামরুল উদ্দিন।

এদিকে পৌরসভা বিএনপির কমিটির আহবায়ক শফিকুর রহমান বাবুল, সাবেক পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক কাজী সাইফুর রহমান স্বপন কে সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক ও হুমায়ুন কবির বাবুকে সদস্য সচিব করে পৌর কমিটি ঘোষণা করা হয়।

যা মেনে নিতে পারেন নি কাজী সাইফুর রহমান স্বপন। উৎপত্তি হয় একই দলের দুই গ্রুপের। কাজী সাইফুর রহমান স্বপন গ্রুপ কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি দেয়ার প্রস্তাব রাখেন। তিনি যুক্তি দেন বিগত ১৭ বছর যারা দলের জন্য গৃহ হারা হয়ে মামলা হামলায় জর্জরিত হয়ে অনিশ্চিত জীবন যাপন করেছে তাদের বঞ্চিত করে জেলা বিএনপির আহবায়ককে বাদ দিয়ে সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলালের একক সাক্ষরের এই কমিটি আমরা ঘৃনা ভরে প্রত্যাখ্যান করি। পরদিন ২৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় আন্দোলন, ক্ষোভ, বিক্ষোভ সংঘাত, সংঘর্ষ, মামলা, হামলা।

এই সংঘাত সংঘর্ষে এই পর্যন্ত উভয় পক্ষের প্রায় ১০০ জনের অধিক আহত হওয়া সহ ৪ টি মামলার খবর পাওয়া গেছে।

এরই মধ্যে মরার উপর খাড়ার ঘাঁ হিসাবে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ছাত্রদলের ফেনী জেলা সহ সভাপতি  কাজী জামশেদুর রহমান ফটিককে বহিষ্কার করা হয় ছাত্রদল থেকে। যার সাথে আহবায়ক আকবর হোসেনের হাত আছে বলে মনে করেন পদ - বঞ্চিত বিদ্রোহী গ্রুপের সদস্যরা। সর্বশেষ গত ৫ আগষ্ট বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নারী নেত্রী সহ উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে। এতে আকবর গ্রুপের এক জন ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে ৪ জন কে আসামী করে ফেনী কোর্টে মামলা করেন। সেই মামলায় ৪ জনের নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই মামলা ও ওয়ারেন্ট এর প্রতিবাদে কাজী সাইফুর রহমান স্বপন গ্রুপ গত শুক্রবার বিকালে দাগনভূঞা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল থেকে আহবায়ক আকবর হোসেনের নামে অনেক বাজে ও অশ্লীল শ্লোগান দিতে শোনা যায়।

দুই পক্ষের অনড় অবস্থান ও সমঝোতাহীন রাজনীতির কারনে স্থানীয় বিএনপির নেতা কর্মিরা যেমন বিব্রত হচ্ছে, তেমনি সাধারণ জনগণের কাছে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্রমেই রসাতলে পতিত হচ্ছে। 

 সমস্যা সমাধান ও সমঝোতার জন্য গত ২০ আগষ্ট বুধবার উভয় পক্ষ কে নিয়ে ঢাকায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর অফিসে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তিনি উভয় পক্ষের কথা শোনে পূ্র্বের আহবায়ক কমিটি বহাল রেখে পূর্নাঙ্গ কমিটিতে সমন্বয় করে উভয় পক্ষের নেতা কর্মিদের পদ দেয়ার আহবান করে মিলেমিশে দলের স্বার্থে এক হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন। 

কিন্তু তার এই আবেদন গ্রহন করেন নি সাইফুর রহমান স্বপন গ্রুপ। তাদের দাবি যে মূল কমিটি ঠিক না করলে কোন সমঝোতা হবে না। 

সমাধান, সমঝোতা না হওয়ায় দাগনভূঞা বিএনপির সাধারন নেতা কর্মি  জনসাধারণ ও ব্যাবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করার কর্মসূচি দিয়েছে দুই গ্রুপ। যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন উভয় পক্ষের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। কেউ কাউকে ছাড় না দিয়ে বাজারে উঠতে না দেয়ার হুমকি ধামকি দেওয়াতে যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা বিএনপির পক্ষে আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার সকল সভা সমাবেশ মিছিল উপজেলায় নিষিদ্ধ করেছে। 

ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য মাহবুবুল হক রিপন ও রফিকুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর নেতা কর্মিরা আওয়ামী লীগের হাতে মার খেয়েছে, মামলা হামলায় জর্জরিত হয়ে অনিরাপদ জীবন যাপন করেছে। কিন্তু একদিন সুখের সময় আসবে দল ঘুরে দাঁড়াবে, সকলে অতীতের ধূসর নির্যাতন নিপিড়নের স্মৃতি ভূলে গিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকল ভেদাভেদ ভূলে মিলেমিশে রাজপথে থেকে দলকে ক্ষমতায় আনবে, এই সপ্নে বিভোর হয়ে সকল প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করেও বিএনপি ত্যাগ করেনি। কিন্তু আমরা কতিপয় লোক নিজেদের স্বার্থ ও আধিপত্য হাসিলের জন্য তাদের সপ্ন নিয়ে প্রতারনা করছি। একই উপজেলায় একই দলের দুই গ্রুপের হামলা মামলা দেখছি নিজের দলের লোকদের মারছি বা মার খাওয়াচ্ছি। এটা সত্যিই আমাদের জন্য বিব্রতকর ও লজ্জার।

পরিস্থিতি সমাধানে জেলা বিএনপির গা-ছাড়া ভাব দীর্ঘ দিন থেকে পরিলক্ষিত হচ্ছে। দিন দিন দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির রাজনীতি অস্তিত্ব সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। কখন কার লাশ পড়ে তা নিয়ে শঙ্কিত উপজেলা বিএনপির সাধারণ নেতা কর্মি ও জনগণ। 

একটাই প্রশ্ন সংকট সমাধান না করে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে এভাবে কতদিন চলবে??

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত