Saturday, 21 June, 2025
Logo
বিজ্ঞাপন
যাবতীয় রড, সিমেন্ট, ইট, বালি ও কনা পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করা হয় ।। যোগাযোগ- মেসার্স হোসেন ব্রাদার্স/ জাকের ট্রেডার্স।। সোবান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড, সিনেমা হলের পাশে, দাগনভুইয়া, ফেনী। প্রোপ্রাইটর জাকের হোসেন আলমগীর ০১৭১১-৯৬২৯২৫।। ০১৮৭১-৯৩০০০৮ মেসার্স কে আহাম্মদ এন্ড সন্স! পরিবেশক,বি এম, ডেল্টা ও ইউনি এল পি গ্যাস! যোগাযোগ- বসুরহাট রোড, সিনেমা হলের সামনে, দাগনভুইয়া, ফেনী- ০১৭১১-৩০৪৮৭৩, ০১৮৩৯-৩৯৭১৩০! দাগনভুইয়া ফিজিওথেরাপী সেন্টার, একটি আধুনিক বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস ও মুখ বাঁকা চিকিৎসা কেন্দ্র। ঠিকানা- সোবহান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড। (সাবেক ঝর্না সিনেমা হলের পাশে)। দাগনভুইয়া, ফেনী। 01818-019684, 01721-910110

দাগনভূঞা কৃষ্ণরামপুর মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে


ছবি - সংগৃহীত

দাগনভূঞা পৌরসভার ৭ নং কৃষ্ণরাম গ্রামে মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৫ ই এপ্রিল বর্তমান কমিটির সভাপতি সৈয়দ আমিনুল ইসলাম সেলিম বাদি হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সি আর ২০২/২০২৫ মামলার ধারা দঃবিধি ৪০৬/৪২০/১০৯/৫০৬।

মামলার বিবাদিরা হলেন পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আবুল খায়ের, সিরাজ উল্ল্যা, জলিলুর রহমান, আরমান। মামলার বিবরনে জানা যায়, বিবাদিগন পরস্পর যোগসাজশে ও একে অন্যের সহায়তাকারী হয়ে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা সমুদয় টাকা মুসল্লী ও লোকজনের বিশ্বাস ভঙ্গ করে উক্ত টাকা আত্মসাত করে নিজস্ব ভোগ ব্যবহারে পরিনত করে। 

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায় ২০০১ সালে দাগনভূঞা পৌরসভা গঠনের পর ৭ নং ওয়ার্ডে আবুল খায়ের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়। নির্বাচনের পর থেকে ক্ষমতা বলে সে উক্ত মসজিদের সভাপতি হয়। সে থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত   মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিলেন।সভাপতি থাকা অবস্থায়  কোন রশিদ বইর মাধ্যমে টাকা কালেশন করতেননা  মসজিদের মুসল্লীদের মাসিক বা বাৎসরিক কোন  হিসাব নিকাশ দিতেন না এবং মসজিদের উন্নতি কল্পে স্থানীয় জনগণ ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের সাথে কোন প্রকার আলাপ আলোচনা করতেন না। নিজেদের প্রভাবখাটিয়ে যেকোন সিদ্ধান্ত নিতেন এবং তার ছেলে আরমান সরকারি চাকরির প্রভাব খাটিয়ে মসজিদের কমিটিতে বাবার বিপরীতে প্রভাব খাটাতেন। মুসল্লীরা মসজিদের কোন হিসাব নিকাশ চাইতে গেলে মুসল্লীদেরকে গাল মন্দ করেতেন এবং বিভিন্ন রকমের হুমকি প্রদান করতেন।

এই বিষয়ে মামলার বিবাদিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তারা বলেন বর্তমান কমিটির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ম ামলা দায়ের করে। 

এই বিষয়ে মামলার বাদি ও  বর্তমান কমিটির সভাপতি সৈয়দ আমিনুল ইসলাম সেলিম বলেন, প্রভাব খাটিয়ে আবুল খায়ের মসজিদ পরিচালনা করতেন দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর তিনি মসজিদের কোন হিসাব নিকাশ দিতেন না। হিসাব চাইতে গেলে মুসল্লীদের বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি প্রদান করতেন এবং মসজিদের কোন উন্নতি সাধন করেন নাই।  মসজিদের টাকা তার ব্যক্তিগত ব্যবসায় বিনিয়োগ করতেন। এই সব   ক্ষোভের থেকে মুসল্লীগণ মসজিদের উন্নতি, আয় ব্যায়ের হিসাব সংরক্ষণসহ নানা প্রকার অব্যবস্থাপনার দূরী করনার্থে সৎ ও ধর্মানুরাগী নিয়মিত মুসল্লীগণকে নিয়ে  এবং অত্র এলাকার মুসল্লীদের গণ স্বাক্ষর নিয়ে বিগত ৫ ই জুন ২০২৪ সালে  ৩১ সদস্য বিশিষ্ট  বৈধ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পর আমরা বর্তমান কমিটি মসজিদের টাকা চাইতে গেলে তিনি তালবাহানা করতে থাকে।  এদিকে তার ছেলে আরমান  দাগনভূঞা সমবায়ে সরকারি চাকরির প্রভাব খাটিয়ে তার বাবার পক্ষ নিয়ে এলাকার লোকজনকে হুমকি ধামকি প্রদান করতে থাকে। এমতাবস্থায় আমরা বর্তমান কমিটি বাদ্য হয়ে নিজেদের নিরাপত্তা ও মসজিদের টাকা উদ্ধারে মামলা করতে বাদ্য হই।

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত